সরিষার তেলের উপকারিতা পুষ্টিগুণ সরিষার তেলের ব্যবহার কমবেশি সবই আমরা জানি। তাই আজকে আমি একটু ভিন্নভাবে সরিষার খাঁটি তেল নিয়ে বিশ্লেষণ করবো। জীবনধারণের জন্য খাদ্য অপরিহার্য। আর খাদ্য তৈরিতে ভোজ্যতেল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই ভোক্তাগণ ভোজ্যতেল সম্পর্কে জানতে বেশি আগ্রহী। এজন্য রান্নার নিয়ম ও ধরন বুঝে উপযুক্ত তেল বাছাই করা আপনার-আমার গুরুদায়িত্ব।কিন্তু বাজারে নিম্নমানের ও ভেজালের ভিড়ে স্বাস্থ্যকর খাঁটি তেল বাছাই করা দুঃসাধ্য।তবুও সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে জীবনের তাগিদে স্বাস্থ্য সচেতন ক্রেতাগণ অপেক্ষাকৃত মানসম্মত তেলটিই বাছাই করেন। তাই স্বাস্থ্যসচেতন ক্রেতা বা ভোক্তাগনের জ্ঞাতার্থে আমার এই লেখার ক্ষুদ্র প্রয়াস। সরিষার তেল সরিষা থেকে হয় কিন্তু এই তেলের রং এমন কি ব্যবহারের সুবিধা ও পুষ্টিগুণ ভিন্ন হয়। কেন জানেন? কারণ হলো- সরিষার প্রকারভেদ আর তেল তৈরি পদ্ধতির কারণে।
বাংলাদেশে প্রধানত ৩ ধরনের সরিষা রয়েছে।
১। বারি বা রাই সরিষা
২। শ্বেতী সরিষা
৩। মাঘী সরিষা
১. বারিবারাইসরিষা:
সচারাচর আমরা যে কালচে বর্ণের ছোট দানার সরিষা দেখতে পায় মূলত সেটাই বারি সরিষা। এই সরিষা থেকে পাওয়া তেল সোনালী বর্ণের হয়, দেখতে পরিষ্কার, বহুল ব্যবহৃত, দাম তুলনামূলক কম। তবে ভাজাপোড়া করার সময় এই তেল কালচে হয়ে যায় আর রান্নাকৃত খাদ্যের রং স্বাভাবিকের তুলনায় একটু গাঢ়ো হয়।
২. শ্বেতীসরিষা: শ্বেতী সরিষার রং হলুদ বর্ণের হয় ।এ সরিষা হতে যে তেল পাওয়া যায় তার রং গাঢ় সোনালী বর্ণের হয়।ঝাজের সাথে এক ধরনের এক্সট্রা ঘ্রাণ থাকে বিধায় এই তেল অনেকে পছন্দ করেন, আবার অনেকে করেন না। মূল্য বারি সরিষার চেয়ে একটু বেশি।
৩. মাঘিসরিষা: মাঘি সরিষা পিঙ্গল বা লালচে রঙের হয়।।এ থেকে পাওয়া তেল কালচে সোনালী রঙের হয়। কোন কেমিক্যাল ব্যবহার না করলে এটা সাধারন সরিষার তেলের চেয়ে গাঢ় বর্ণের । দাম অন্য দুটোর চেয়ে বেশি। এই তেল খাবারের রঙ স্বাদ বাড়িয়ে দেয়। ভাজাপোড়ার ক্ষেত্রে অতুলনীয়। ঘানি ভাঙা তেল আর মিলে তৈরি তেল এর মাঝে পার্থক্য পরিমাণের ,পুষ্টিগুণের আর মূল্যের। ঘানিতে ভাঙ্গা তেলে সরিষার পরিমাণ বেশি লাগে, পুষ্টিগুণ কিছুটা বেশি , ঘ্রাণ আর বর্ন প্রাকৃতিক -আর মূল্য বেশি।