সুন্দরবনের বুনো মৌমাছির-চাকের-মধু- ১ কেজি
মধুর উপকারীতা
নিয়মিত ও পরিমিত মধু সেবন করলে যেসব উপকার পাওয়া যায়। তা হলো-
১. হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রক্তনালি প্রসারণের মাধ্যমে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং হৃদপেশির কার্যক্রম বৃদ্ধি করে;
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে;
৩. দাঁতকে পরিষ্কার ও শক্তিশালী করে;
৪. দৃষ্টিশক্তি ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে;
৫। মধুর উপরে পোলেনের স্তর দেখা যায়। মধুর রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা, যা দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের হাত থেকে রক্ষা করে;
৬. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে;
৭. বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে;
৮. মধুর ক্যালরি রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে রক্তবর্ধক হয়;
৯. যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু সেবন অত্যন্ত ফলদায়ক;
১০. গ্লাইকোজেনের লেভেল সুনিয়ন্ত্রিত করে;
মধুর আরো অনেক উপকারীতা আছে।
সুন্দরবনের (ম্যানগ্রোভ) মধুর বৈশিষ্ট্যে :
১। সুন্দরবনের মধু আবহাওয়াগত কারণে সবসময় পাতলা হয়।
২ । মৌসুমের শুরুতে সাদাটে দেখায় তবে সুন্দনবনের ফুল ও সময় পরিবর্তনের সাথে লালচে রঙ ধারণ করে।
৩। খেতে খুবই সুস্বাদু, হালকা টকটক মিষ্টি ও কিছুটা ঝাঝালো লাগে। মধুতে বুনো ঘ্রাণ থাকে।
৪। মধুর বোতলে ঝাঁকি লাগলে অনকে সময় ফেনা সৃষ্টি হয়। সুন্দরবনের মধুর মধ্যে ময়েশ্চার এর আদিখ্যের কারণে সীমিত পরিমাণে ফার্মানটেশন হয় এর ফলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্যাস তৈরি হয় যার কারণে আমরা এটাকে ফেনা হিসেবে দেখি। এর ফলে পেপসি, সেভেনাপের মতো মধুতে ফেনা হয়ে।
৬। সুন্দরবনরে মধুতে খলিশা, গরান, কেওড়া হরগোজা, পশুর, মঠগরান, কাকড়া, লতা ফুলের নেকটার থাকে।